আস্তে আস্তে জানলাম অনেক কথা। তাদের আসল বাড়ি ছিল বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার এক গ্রামে। অভাব ছিলনা, ছিল গোলা ভরা ধান, গোয়ালে গরু, পুকুরে মাছ। তারার মায়ের কোলে একদিন সত্যিই তারার মতো একটি মেয়ে এসেছিল। তার জন্মের রাতে আকাশে অনেক তারা ফুটেছিল। তার বাবা তাই নাম রেখেছিল তারা। তারা যখন সবে কথা বলতে শুরু করেছে, তখন এলো বিপদ। এলো একাত্তরের যুদ্ধ। শরনার্থী হয়ে সবাই চলে এলো, তারার বাবা ক্যাম্প থেকে চলে গেল মুক্তিবাহিনীতে যুদ্ধ করতে- তারার মায়ের বারন শুনলোনা। আর সেই যে গেল, আর ফিরে এলোনা। দেশ স্বাধীন হলে অনেকের সাথে তারার মা আবার ফিরে গেল, কিন্তু চার-পাঁচ বছর পরে আবার ফিরে আসতে বাধ্য হলো। বিধবা যুবতী মেয়ের অনেক বিপদ। সম্মান বাঁচাতে একদিন সব ছেড়ে মেয়েকে কোলে করে পাঁচিদের পরিবারের সাথে এসে এখানে আস্তানা নিল। পাঁচির তখনো জন্ম হয়নি। তারার বিয়েও হলো, ছেলে হলো। জামাইটা ভালো ছিলনা। মদ-জুয়ার নেশা ছিল। সেও একদিন তারাকে ফেলে কোথায় চলে গেল। তারার ছেলের যখন চার-পাঁচ বছর বয়স, তখন তারাও একদিন রেলে ধাক্কা লেগে মরে গেল। নাতিও একটু বড়ো হয়ে বাবার মতো হলো। কারো কথা শুনলোনা। এখন বিয়ে করে গুমা থাকে আর মাঝে মাঝে এসে বুড়িকে মেরে ধরে যা পায় নিয়ে যায়। যা দেখাশোনা, স্বামী পরিতক্ত্যা পাঁচিই করে। বুড়ি বন বাদাড় থেকে শাক-পাতা তুলে বাজারে বিক্রি করে যা পায়, তাতেই তার খাবার হয়ে যায়। এই হলো বুড়ির সংক্ষিপ্ত জীবন কাহিনি।
Next Post
এতটা মেলামেশা না করাই ভালো
Sun Nov 29 , 2020
সে যাক। আমার মনে হলো, বুড়িতো এখন মুটামুটি ঠিক আছে। ওষুধ-পত্র দিচ্ছে সরকারী টিবি দপ্তর। পাঁচি নিজের মতো করেই দেখে। ওর জন্যেই বুড়ি বেঁচে আছে। আমারও আর এতটা মেলামেশা না করাই ভালো। বাড়িতেও মৌ এই নিয়ে মাঝে মধ্যেই অশান্তি করে। ঠিক করলাম আর বেশি যাবোনা। পাঁচিকে বলে এলাম, দরকারে আমার […]

You May Like
-
2 months ago
ধীরে ধীরে বললো,
-
2 months ago
সবুজ সুতো দিয়ে সেলাইয়ের মাধ্যমে
-
2 months ago
নিউবারাকপুর স্টেশানের পশ্চিম পাশে
-
2 months ago
তার জন্যে কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ হচ্ছে
-
2 months ago
তার উপরে মুখোমুখি বসে আছে দুটো টিয়া পাখী।
-
2 months ago
বাইরে দাঁড়িয়ে গলা নামিয়ে