রঙের শাড়ী, মাথার চুল উস্কু-খুস্কো, বোধ হয় অন্য কোন কাজে ব্যস্ত ছিল। দেখেই মনে হয় গলার মতো চেহায়ায়ও তেজ আছে, লাবন্য থাক বা না থাক।
বাইরে দাঁড়িয়ে গলা নামিয়ে বললো, ‘ডাকো কেনো?’
‘দেখ্ বাবু আইচে। এট্টু চা টা বানা!’
‘না, না। আমি চা খাবোনা…’ বললাম।
পাঁচি ঘরে ঢুকে খাটের পাশের দিকে তাকিয়ে কড়া গলায় বললো, ‘সকালের চিড়ে এহনো খাওনাই? না খায়ে মরবা নেকি? দেখি গা ক্যামন? বলে গায় হাত দিল। বললো, ‘এহনোতো মেলা জ্বর আছে মনে হয়- তুমি শুয়ে থাকো। আমি দেখতিছি’ বলে বুড়িকে আবার শুইয়ে দিল বিছানায়।
আমি বললাম, ‘কবে থেকে জ্বর হয়েছে?’
পাঁচি জবাব দিল,’দশ-বার দিন তো অবেই। বেশীও হতি পারে’
‘ওষূধ খায়নি?’
‘হোমিপ্যাথি আনে দিছিলাম। তাই খাইছে’
‘আর কোন ডাক্তার দেখাওনি?’
এবার পাঁচি সরাসরি আমার দিকে তাকিয়ে বললো, ‘কিডা দেখাবে? টাকা পয়সাই বা কোহানে পাবো?’
আমি বললাম, ‘উনার কেউ নাই’। ‘এক মদ-মাতাল নাতি আছে। মাঝে মাঝে আসে, যা পায় তাই